নিউজ ব্যাংক বাংলা, চট্টগ্রাম।
বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের বলে অপহরণকারীদের কবল থেকে ৫ ঘণ্টার মাথায় ফিরে এসেছে চট্টগ্রাম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র এস এম আমিরুল ইসলাম(১৩) (ইলহাম)।
তার এমন ফিরে আসাকে অভিভাবক শিক্ষক শুভার্থিরা বলছেন, ‘প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের প্রকাশ’। শনিবার ১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রামের বাকলিয়া এক্সেস সড়ক সংলগ্ন এলাকায় এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।

উত্তর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মোঃ ফোরকান আবুর সন্তান ইলহাম।
চট্টগ্রাম সরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইলহামের ফিরে আসা নিয়ে সাংবাদিক সৈয়দ ফোরকান আবু জানালেন, প্রতিদিনের মতো আজও সকাল সাড়ে আটটায় কোচিং এ যাচ্ছিলো ভাড়া করা ‘টমটমে’ চড়ে। বাকলিয়া অ্যাক্সেস রোডের কাছে যেতেই ‘বৈধতা’র প্রশ্নে টমটম আটকে দেয় পুলিশ। ইলহাম একটু হেঁটেই আর একটি টমটমে উঠে যাচ্ছিল গন্তব্যে। এ সময় ওই টমটমের ড্রাইভার ও আরেকজন সহযোগী ইলহামকে নিয়ে যায় অজ্ঞাতস্হানে। সেখানে ৫ ঘন্টা আটকে রেখে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন চাওয়ার জন্য অভিভাবককে ফোন করতে অপহরণকারিরা তাকে একটি মুঠোফোনের দোকানে নিয়ে যায়।
সেই দোকানে আসা অন্য দুই গ্রাহককে সুযোগ বুঝে অপহরণ দশায় নিজের অসহায়ত্বের কথা খুলে বলে ইলহাম। সেই দুই গ্রাহক সেখানে উপস্থিত থাকা দুইজন অপহরণকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এই সুযোগে ইলহাম কৌশলে পালিয়ে বাসায় চলে আসে।
ইলহামের বাবা দৈনিক যুগান্তরের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ফোরকান আবু আরো জানান, হাতেনাতে ধরা পড়া সেই দুই অপহরণকারীকে হয়তো প্রমাণের অভাবে তাৎক্ষণিক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

শিশু শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের নিরিখে সেই মোবাইল ফোনের দোকান খুঁজে বের করে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছেন ইলহামের বাবা ।
ইলহাম এর বাবা সাংবাদিক সৈয়দ ফোরকান আবু জানান, বাকলিয়া এক্সেস সড়কের সামনে থেকে ইলহাম দ্বিতীয় টমটমটিতে উঠে কিছুদূর যাওয়ার পর চালকের সহায়তায় ভেতরে থাকা মধ্যবয়সী অপহরণকারী ইলহামের চোখ-মুখ বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে যায়। দুপুর দেড়টার সময় অপহরণকারীরা তাকে একটি মুঠোফোনের দোকানে নিয়ে যান। কৌশলে দোকান থেকে দৌড়ে পালিয়ে ইলহাম মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া করে বাসার সামনে চলে আসেন।
প্রতিবেদনের বাকি অংশ নিচের NEWS BANK TV
ইউটিউব লিংক এর পর। চোখ রাখুন –
এমন তো দেখার কথা ছিল না….
স্বাধীনতার প্রায় ৫৫ বছর পরেও এই চিত্র কেন?
অপহরণ চেষ্টার এই ঘটনার পর থেকে ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানান সাংবাদিক সৈয়দ ফোরকান আবু। জানান,প্রশাসনের প্রতি আমার একটাই দাবি যারা এই অপহরণ চেষ্টার সাথে জড়িত তাদের যেন সহসায় চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হয়।
বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.আবদুল কাদের জানান,
” অপহরণ চেষ্টার শিকার হওয়া ছাত্র ইলহামকে টমটমে উঠার পরপর চোখে মুখে কিছু একটা লাগিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইলহাম। “
বাসায় গিয়ে তার সাথে কথা বলেছেন বাকলিয়া থানার এস আই। তবে তিনি নিউজ ব্যাংক বাংলাকে বলেছেন, ঘটনাটি চকবাজার থানা এলাকায় ঘটেছে । অপহরণের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।



