নিউজ ব্যাংক বাংলা, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চসিকের একুশের স্মারক সম্মাননা ২০২৪ প্রদানের ঠিক আগেই পদক প্রাপ্তদের নামের তালিকা দেখে যেন এক হাত নিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কলামিস্ট মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী। পরিবেশ আন্দোলনেরও এই অকুতোভয় নেতা অনেকটা অভিমানের স্বরে পদক সংক্রান্ত দায়িত্বশীলদের সমালোচনাই করলেন।
সামাজিক মাধ্যমে তিনি যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো ,
” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে স্মারক পদক প্রবর্তন করেছে। অনেকের ধারণা, বিষয়টি সংকোচনশীল। সার্বজনীন হয়নি। কারণ সমাজে শিক্ষাবিদদের সংখ্যা সীমিত।
বরঞ্চ শুধু শিক্ষায় না হয়ে, বিষয়টি ‘প্রাইভেট, কোচিং শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশের পদক’ প্রবর্তন প্রচলন করলে বিষয়টি কারও কারও জন্য আরো যুৎসই হতো। আরো বেশি প্রয়োগিক হতো, আরো বেশি জনগনমুখী এবং কর্মমুখী হতো, আরও বেশি উৎসাহ ব্যঞ্জক হতো। এতে ভবিষ্যতের বিকৃতকর্ম সম্পাদন আরও সহজ হতো। পদক দেয়ার যোগ্য লোকজনকে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে এখনকার মত খুঁজতে হত না।
শিক্ষাকে বাণিজ্যে রূপ দেয়ার কাজটি এত সহজ নয়। যে সকল কারিগর এই কাজটি করে সহজ সাবলীলভাবে সমাজে ছড়িয়ে দিয়েছে, তাদের কোনো না কোনোভাবে পুরস্কৃত করা উচিত। আগামীর জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তা মনে রাখলে জাতি উপকৃত হবে।
অবশ্য ‘রতনে রতন চেনে’ শব্দটি বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত। এর প্রতি সুবিচার করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশের রতন দেবাশীষরা তা করেছে । শিক্ষা বাণিজ্যের পরিচালকদের আগামীতে আরও মূল্যায়ন করা উচিত যথাযথভাবে।
সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের বিনীত আবেদন এটি।
আগামীতে দায়িত্বশীলরা এ বিষয়টি ভাবলে শিক্ষার বিকাশ, বিস্তৃতি, বাণিজ্য এবং সৃষ্টিশীলতার(?) যুগোপযোগী একটি মহৎ কাজ করা হবে বলে অনেকের ধারণা।
দয়া করে কেউ আহত হবেন না। কাউকে উদ্দেশ্য করে এ লেখা নয়। সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীলদের নিরন্তর অভিনন্দন। সকলেই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সকলকে।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী
মুক্তিযোদ্ধা“
20.01.2024