রেজাউল করিম #
একটি কবিতা শোনার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের অধীর অপেক্ষা। কখন কবি আসবেন। এমন নজির বিশ্বে আর দ্বিতীয়টি নেই। একটি কবিতা পড়া হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে। অতঃপর কবি এলেন। চারিদিকে জয়ধ্বনি। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত জনসমুদ্র। ‘শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে/ রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে/ অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন/ তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল/ হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার/ সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী/ গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি: ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’/ সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।’
ঢাকায় তখন বিদেশি সব গুরুত্বপূর্ণ পত্রপত্রিকা ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্য সেটি ছিল এক অন্তিম মুহূর্ত। অপরদিকে, স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত বাঙালি জাতির জন্য ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের শৃঙ্খল ছিন্ন করে জাতীয় মুক্তি বা স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত সংগ্রামের আহ্বান। এর পটভূমিতে ছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালিদের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী দল আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সত্ত্বেও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বাঙালি জাতিকে সমূলে নির্মূল করার ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সারা বাংলায় একদিকে চলছিল সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলন, অপরদিকে ঘটে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণ ও হতাহতের ঘটনা।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ নির্ধারিত সময়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বিক্ষোভে উত্তাল রেসকোর্সের লাখো জনতার সভামঞ্চে এসে উপস্থিত হন। হৃদয়ে তার বাঙালির হাজার বছরের মুক্তির স্বপ্ন। মাথার ওপর আকাশে ঘুরছিল পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান। এমনই এক সন্ধিক্ষণে তিনি ১৮ মিনিটের সংক্ষিপ্ত অথচ জগদ্বিখ্যাত ভাষণটি প্রদান করেন। অসাধারণ এর বক্তব্য। যেমন সারগর্ভ, ওজস্বী ও যুক্তিযুক্ত, তেমনি তির্যক, তীক্ষè ও দিকনির্দেশনাপূর্ণ। অপূর্ব শব্দশৈলী, বাক্যবিন্যাস ও বাচনভঙ্গি। একান্তই আপন, নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে পাকিস্তানের ২৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস ও বাঙালিদের অবস্থা ব্যাখ্যা করেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে বাঙালিদের দ্বন্দ্বের স্বরূপ তুলে ধরেন। শান্তিপূর্ণভাবে বাঙালিদের অধিকার আদায়ের চেষ্টার কথা বলেন। অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি ব্যাখ্যা ও বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সারা বাংলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ প্রদান করেন। প্রতিরোধ সংগ্রাম শেষাবধি মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়ার ইঙ্গিত ছিল তার বক্তৃতায়। শত্রুর মোকাবেলায় গেরিলা যুদ্ধের কৌশল অবলম্বনের কথাও বললেন তার বক্তৃতায়। যে কোনো উসকানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এমন বক্তব্যের পর তিনি ঘোষণা করেন : ‘… ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে … এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
১৯৯২ সাল থেকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পদের স্বীকৃতি ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে। এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বকোভার কথায়, ‘আমি গভীর ও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দালিলিক ঐতিহ্য ও স্মৃতি সংরক্ষণে এ কর্মসূচি পরিচালিত হওয়া উচিত, যাতে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সংলাপ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শান্তির চেতনা লালন করতে পারে।’ যুদ্ধবিগ্রহ, লুণ্ঠন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ইত্যাদি কারণে দেশে-দেশে বিশ্ব ঐতিহ্য বিনষ্ট বা ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে। আবার সম্পদের অপ্রতুলতার কারণেও যথাযথভাবে তা সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেও তা বিনষ্ট বা বিস্মৃতির অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে। এসব দিক বিবেচনায় ইউনেস্কোর এ কর্মসূচির গুরুত্ব অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি পৃথিবীর একাধিক ভাষায় ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এত দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো নেতার ভাষণ সেদেশের মানুষ শ্রবণ করে আসছে কিনা সন্দেহ। এটি এমনই ব্যঞ্জনাপূর্ণ ও গীতিময় যে, যতবার শ্রবণ করা হয়, ততবারই মনে হবে এই প্রথমবার শোনা হল, কখনও পুরনো মনে হয় না। এই ভাষণ একটি জাতি-জনগোষ্ঠীর মুক্তির কালজয়ী সৃষ্টি, এক মহাকাব্য। বহুমাত্রিকতায় তা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। শুধু বাঙালির জন্যই নয়, বিশ্বমানবতার জন্যও অবিস্মরণীয়, অনুকরণীয় এক মহামূল্যবান দলিল বা সম্পদ।
গ্রিক নগররাষ্ট্র এথেন্সের রাষ্ট্রনায়ক পেরিক্লিসের অপর এক নগররাষ্ট্র স্পার্টার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিহত স্বদেশীয় সৈন্য ও সাধারণ মানুষের স্মরণে প্রদত্ত ভাষণ (৪৩১ খ্রিস্টপূর্ব) থেকে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিগানের ১৯৮৭ সালে বার্লিনে দুই জার্মানির মধ্যকার বিভক্তির দেয়াল ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার আহ্বান-সংবলিত ভাষণ পর্যন্ত আড়াই হাজার বছরের বিশ্ব ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী ৪১ জন সামরিক-বেসামরিক জাতীয় বীরের বিখ্যাত ভাষণ নিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ড ‘উই শেল ফাইট অন দ্য বীচেস : দ্য স্পিচেস দ্যাট ইনস্পায়ার্ড হিস্ট্রি’ শিরোনামে একটি বই সংকলন করেন, যা ২০১৩ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। এ বইয়ে অন্যদের মধ্যে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, জুলিয়াস সিজার, অলিভার ক্রমওয়েল, জর্জ ওয়াশিংটন, নেপোলিয়ন, জোসেফ গ্যারিবোল্ডি, আব্রাহাম লিংকন, লেনিন, উইড্রো উইলসন, চার্চিল, রুজভেল্ট, চার্লস দ্য গল, মাও সেতুং, হো চি মিন, প্রমুখ নেতার বিখ্যাত ভাষণের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ভাষণগুলোর অন্যতম। এর কারণ, যে কোনো শ্রেষ্ঠ ভাষণমাত্রই প্রচণ্ড উদ্দীপনাময়, মুহূর্তে মানুষকে নবচেতনায় জাগিয়ে তুলে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত করতে পারঙ্গম। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বাঙালি জাতিকে নজিরবিহীনভাবে ঐক্যবদ্ধ এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। ভাষণে দৃপ্তকণ্ঠে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমরা ভাতে মারবো। আমরা পানিতে মারবো … আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না। … রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ।’ ঠিকই, কোনোরূপ আপসকামিতার পথে না গিয়ে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ৩০ লাখ লোক আত্মোৎসর্গ করেন, যা বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন। শ্রেষ্ঠ ভাষণের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নেতৃত্বের সর্বোচ্চ দেশাত্মবাধ, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে স্থির এবং লক্ষ্য অর্জনে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মূল ও আশু লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানি অভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ-নিয়ন্ত্রণ থেকে বাঙালির জাতীয় মুক্তি বা স্বাধীনতা। শ্রেষ্ঠ ভাষণের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সময়ের পরিসীমায় গণ্ডিবদ্ধ না থেকে তা হয় কালোত্তীর্ণ ও প্রেরণাদায়ী। ইতিহাসখ্যাত শ্রেষ্ঠ ভাষণের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এর কাব্যিক গুণ- শব্দশৈলী ও বাক্যবিন্যাসে যা হয়ে ওঠে গীতিময় ও শ্রবণে চতুর্দিকে অনুরণিত। ৭ মার্চের ভাষণটি ঠিক অনুরূপ, যে কারণে বঙ্গবন্ধু আখ্যায়িত হন পয়েট অব পলিটিক্স বা রাজনীতির কবি। যে কোনো শ্রেষ্ঠ ভাষণই উত্থিত হয় বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে, ফলে তাকে তাৎক্ষণিক, স্বতঃস্ফূর্ত ও হৃদয় উৎসারিত বলা যায়। ৭ মার্চের ভাষণও ছিল তা-ই, যা লিখিত ছিল না। শ্রেষ্ঠ হিসেবে চিহ্নিত ইতিহাসখ্যাত ভাষণের অপর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, আকারে নাতিদীর্ঘ। আব্রাহাম লিংকনের গিটেসবার্গ অ্যাড্রেসের শব্দ সংখ্যা ২৭২, সময় ৩ মিনিটের কম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের সময় ১৮ মিনিট, শব্দ সংখ্যা ১১০৫, অপরদিকে মার্টিন লুথার কিংয়ের আই হ্যাভ এ ড্রিম অ্যাড্রেসের সময় ছিল ১৭ মিনিট, শব্দ সংখ্যা ১৬৬৭।
পাকিস্তান সরকার ৭ মার্চেও ভাষণটি রেডিও ও টেলিভিশনে প্রচারের অনুমতি দেয়নি। সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তৎকালীন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম সালাহউদ্দিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক একইসঙ্গে তৎকালীন ফরিদপুর- ৫ পাঁচ আসনের সংসদ সদস্য এম আবুল খায়ের ভাষণটি ধারণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাদের এ কাজে সাহায্য করেন তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের চলচ্চিত্র বিভাগের চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা আবুল খায়ের, যিনি ভাষণের ভিডিও ধারণ করেন। তাদের সঙ্গে তথকালীন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রযুক্তিবিদ এইচ এন খোন্দকার ভাষণের অডিও রেকর্ড করেন। অডিও রেকর্ডটি এম আবুল খায়েরের মালিকানাধীন রেকর্ড লেবেল ঢাকা রেকর্ড বিকশিত এবং আর্কাইভ করা হয়। পরে, অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের একটি অনুলিপি বঙ্গবন্ধুকে হস্তান্তর করা হয় এবং অডিওর একটি অনুলিপি ভারতে পাঠানো হয়। সেইসাথে অডিওর ৩০০০ অনুলিপি করে তা সারা বিশ্বে ভারতীয় রেকর্ড লেবেল এইচএমভি রেকর্ডস দ্বারা বিতরণ করা হয়। যারা ঝুঁকি নিয়ে ভাষণটি রেকর্ড করেছেন, প্রচারের ব্যবস্থা করেছেন তারাও ইতিহাসের অংশ। কেননা, তাদের জন্য ভাষণটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রচারিত হচ্ছে। দিনটি বাঙালির জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুজিববর্ষে ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
পরিচিতি :
রেজাউল করিম চট্টগ্রামের প্রাচীন দৈনিক আজাদীর সহ সম্পাদক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজতত্ত্ব বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষে যোগ দেন এই দৈনিকে। পড়াকালীন কাজ করেন মাসিক শ্লোগান (বর্তমানে সাপ্তাহিক), সাপ্তাহিক মুক্তধ্বনিতে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার স্মরণিকার সাথে যুক্ত ছিলেন।
ছোটকাল থেকে দৈনিক আজাদীর আগামীদের আসরে লেখালেখি করেন।থেমে ছিলেন না।
আজাদী, পূর্বকোণ, চট্টলা, স্লোগান, ইত্তেফাক, সংবাদ, বেগমসহ অনেক সংবাদপত্রে লিখেছেন তিনি।
২০০০ সালে শৈলী প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় তার ‘উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ নামের একমাত্র গ্রন্থটি।