পন্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয় : চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা

Must Read

নিউজ ব্যাংক বাংলা, চট্টগ্রাম:

আন্তর্জাতিক পন্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয় এর খনন কাজ ও পুন প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র , অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে ।

 চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক পণ্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন নাগরিক উদ্যোগ’ এর আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নাগরিকগণ উক্ত হস্তক্ষেপ কামনা করে নিজেদের  প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

 ড. মুহাম্মদ ইউনুস চট্টগ্রাম সফরের আগের দিন, ১৩ মে’ ২০২৫ বিকালে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

পণ্ডিতবিহারের সিদ্ধাচার্যগণই রচনা করেছিলেন বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন চর্যাপদ। ৮ম শতকে চট্টগ্রামের দেয়াং পাহাড়ের বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে আলোচ্য পণ্ডিতবিহার নামের শিক্ষালয়টি চালু থাকলেও কালের বিবর্তণে তা ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ধ্বংস হয়ে যায়।

‘আন্তর্জাতিক পণ্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয়’ এর প্রস্তাবক এবং আন্তর্জাতিক পণ্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয় নাগরিক উদ্যোগের আহবায়ক অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞাপাল মহাস্থবির, প্রফেসর ড. অর্থদশীর্ বড়ুয়া, ডা: তনয় রঞ্জন বড়ুয়া,  বোধিপাল বড়ুয়া, প্রকৌশলী প্রমোথ বড়ুয়া, এডভোকেট তুষার মুৎসুদ্দী, তাপস হোড়,  সুশীল বড়ুয়া, প্রকৌশলী বিজয় তালুকদার, নাট্যকর্মী মো: রাসেল এবং প্রকৌশলী সুযশ চৌধুরী প্রমূখ।

‘আন্তর্জাতিক পণ্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন নাগরিক উদ্যোগ’ এর সদস্য সচিব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়স্থ নাট্যকলা বিভাগের অতিথি শিক্ষক নাট্যজন মোস্তফা কামাল যাত্রার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভাটিতে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিকগণ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর বরাবরে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাস্থ বটতলী মৌজার ৫০ একর জমি অধিগ্রহণপূর্বক ৫৬০ কোটি টাকা প্রাথমিক বরাদ্দ দেওয়ার মাধ্যমে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক পণ্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে কারিকুলাম প্রণয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পন্ন হলেও রহস্যজনক কারণে ১৪ বছর পার হওয়ার পরও তা আজও আলোর মুখ দেখেনি।

২০২৩ সালে সরকারীভাবে ঐতিহাসিক এই প্রত্ননিদর্শন খুঁজে বের করতে খননকার্য আরম্ভ হয়েছিল। যা মাঝপথে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের আর্থিক ঘাটতির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ঐতিহাসিক কারণে সেই খননকার্য পুন:রায় শুরু করা অতীব জরুরী।

মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ উভয় বিষয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদাত্ব আহ্বান জানান। 13/05/2025

- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img
Latest News

পুলিশে বহিষ্কৃত হন ২৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার বাদী !

নিউজ ব্যাংক বাংলা, চট্টগ্রাম : পুলিশ বিভাগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন চট্টগ্রামের ২৭ পেশাজীবী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী সেই যুবক। নিজেকে...
- Advertisement -spot_img

More Articles Like This

- Advertisement -spot_img