শাহ মিডু, নিউজ ব্যাংক বাংলা ডট কম :
লোকে যাকে ভালো বলে, আল্লাহও তাকে ভালো বলে। সেরুপ ভালো লোকেরা ইহকাল ত্যাগ করলেও মম আসন নিয়ে, চির জাগরুক হয়ে, রয়ে যায় মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায়।
সদ্য প্রয়াত হযরত ছুফি মোহাম্মদ জেবল হোসেন (র.) ছিলেন তেমনই এক ক্ষণজন্মা তরুণ ছুফি সাধক। যার মেধা- মনন- চিন্তা- চেতনা জুড়ে সব সময়ই থাকত তরিকতের খেদমত আঞ্জাম দেয়ার বাসনা।
গতকাল তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। নিত্যদিনের মত নিজে পেশাগত ডিউটি শেষ করে ঘরে এসে প্রাতরাশ সারেন স্বস্ত্রীক। তার কিছু সময় পরে তিনি হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ব্যথা বেদনা অনুভব করলে, তাকে তৎক্ষণাত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার প্রত্যক্ষদর্শী ছোট ভাইয়ের মতে, তাকে বাড়ি হতে নিয়ে গাড়িতে তোলা হলে, সেখানেই তিনি ইন্তিকাল বরণ করেন।
এত অল্প বয়সী একজন মানুষের নামাজে জায়নাযায় মানুষের জমায়েত, ছিল সত্যিই বিষ্ময়কর। মসজিদের পেশইমাম সাহেব জানতে চাইলেন, “মানুষটি কেমন ছিলো”? – সমম্বরে শত মুসল্লি উচ্চ কন্ঠে বলে উঠলেন, “খুব ভালো ছিলো”, “খুব ভালো ছিলো”, “খুব ভালো ছিলো” । এ এক অবিস্মরণীয় সাক্ষ্য দান। মুনাজাত কালে দোয়ায় ফরিয়াদও করা হয় যেন, সকলের পক্ষ হতে দেয়া এ কথার সমন্বিত সাক্ষ্য, মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কবুল করে মরহুমের আমল নামায় যুক্ত করেন ।
আজ শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে মানব সমূদ্রকে সাক্ষি রেখে পুত-পবিত্র তুল্য রুপে বিদায় নিলেন, সিলসিলায়ে রাহে ভান্ডারের উক্ত তরুণ খলিফা- স্বপরিবার আপন পীর ও মুর্শিদের ঐকান্তিক খাদেম হওয়ার অন্যন্য নজির স্থাপনকারী – হযরত ছুফি মোহাম্মদ জেবল হোসেন ( রহমাতুল্লাহি আলাইহ )।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম দরবার শরিফে চার দিন ব্যাপী আয়োজিত মহান ওরছে আকবরের ৪র্থ দিন, ০৮ জুন দরবারের শাহী প্রাঙ্গনে অনুষ্টিত মাহফিলে স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলা (মা.) কয়েক জনের খেলাফতের ঘোষণা দানকালে তার নামটিও জনসমক্ষে ঘোষণা করেন। সে থেকে তিনি খলিফায়ে রাহে ভান্ডার খেতাবে ভূষিত হন।
তার নামাজে জায়নাযায় ইমামতি করেন আপন পীর ও মুর্শিদ- চট্টগ্রাম দরবার শরিফের সাজ্জাদানশিন- রাহে ভান্ডার সিলসিলার গ্রান্ড শায়েখ: হযরতুল আল্লামা ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ ( হাফেজাহুল্লাহ বিশ্বানে ওয়াত্তাকরিম )।
গতকাল ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ইংরেজি, ২৫ পৌষ ১৪৩০ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার মরহুমের নামাজে জায়নাযা অনুষ্ঠিত হয় কালুরঘাট খেজুরতলা রোডস্থ পাঠানপাড়া জামে মসজিদে বা’দ এশা। এতে শতশত মানুষের সমাগম ঘটে। পরে তাকে মসজিদ সংলগ্ন তাদের পরিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
.
.