আমার ছেলে সবে কলেজ পার হয়েছে – বলেকয়েও তাকে দাদা দাদীর কবর জিয়ারতে পাঠাতে পারিনা, রাত জেগে নামাজ কালাম ইবাদত বছরের কোনো সময় তাকে করতে দেখি না — গতরাত রাত ১২ টায় আমি ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম, এমন সময় সে দামপাড়া জামায়তুল ফালাহ মসজিদ থেকে নামাজ নফল ইবাদত শেষ করে বললো চলো দাদুর কবর জিয়ারত করে আসি, সে নিজেই গাড়ী চালিয়ে নিয়ে গেলো। একটা রাতের উসিলায় তাকে আল্লাহ পরিপূর্ণ হেদায়েত দিতেও পারে।⬛ এই একটা দিনের শিক্ষা, চর্চা আমাদের প্রজন্মকে ধর্মভীরু বানাতে যথেষ্ট। আমরা যারা মাদরাসা, সহীহ ধর্ম শিক্ষা না পেয়েও- বাবা মা দের দেখাদেখি ধর্মের অনেক কিছু শিখেছি।
সব কিছুতে রেফারেনস দিয়ে ধর্ম পালন হয় না। মহাগ্রন্থ আল কোরআান এর বানী, পবিত্র হাদীস শরীফ এর আলোকে আমরা অবশ্যই ইসলামী বিধি বিধান মানবো – কিন্ত ধর্ম সংশ্লিষ্ট কিছু আচার সংস্কৃতি আমাদের দেশে শত বছর ধরে পালন হয়ে আসছে। ➡️ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি দিনদিন বেড়েই চলছে। you tube, ফেসবুকে, মাহফিলে কতিপয় কাঠ মোল্লারা ও ভন্ড ফতোয়াবাজরা – শবে বরাত সহ বিভিন্ন পবিত্র দিন নিয়ে মনগড়া ওয়াজ নসিহত করে – ফিতনা সৃষ্টি করছে। 👍মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছি – পরবর্তীতে পরিবার, শিক্ষক, সমাজ, লেখাপড়া করে আমরা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জেনেছি। ➡️শবে বরাত আমার বাবা মা, নানা নানী, পাড়াপ্রতিবেশি সহ সকলকে জন্মের পর থেকে পালন করতে দেখেছি।
নিউজ/লেখাটির বাকি অংশ দেখুন নীচের ভিডিও এর পর-
জামায়াত..শিবিরের রাজনীতি, আওয়ামীলীগ ও নির্বাচন নিয়ে আলোচিত টকশো :
মেজর জেনারেল অব ইব্রাহিম যা বললেন,
জানতে হলে লিংক চাপুন –
( ভালো লাগলে বন্ধুদের জানাতে লাইক ও শেয়ার দিন, প্লিজ ! )
এ দিনটি সামনে রেখে সারাবছর যে লোক – মা বাবা মুরব্বিদের কবর জিয়ারতে যেত না, সেও টুপি লাগিয়ে যিয়ারত এর উদেশ্য যায় এই রাতে।⬛ সারা রাতব্যাপী গায়ে হলুদ পার্টিতে আমোদ ফূর্তি নাচানাচি করলেও দোষ হয় না, রাত জেগে এবাদত করলে অনেকের গায়ে জ্বলে। ফিতনা সৃষ্টিকারী এই গোষ্ঠী এই সব ইসলামিক সংস্কৃতি ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে কথা বলে – বর্তমান প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। উদ্দেশ্য একটাই ওহাবী সালাফী মওদুদীবাদ এবং উগ্রতার মধ্যে দিয়ে – নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা। আমরা অবশ্যই শব-ই- বরাত শব ই মেরাজ মিলাদুন নবী (সা:) উৎসব ও ভাব গাম্ভীর্যর সাথে পালন করবো। পীর আওলিয়াদের মাজারে যাবো তাদের সম্মান করবো – তবে পীর আউলিয়ার মাজারে গিয়ে সিজদা, ভন্ডামী করবো না – বুঝতে হবে পীরের বংশের ছেলে পীর না ও হতে পারে – এখন দেখি অনেক পীর ভোটে দাঁড়ায় আবার গো হারা হারে — এসব টাউট বাটপারের পিছনে অহেতুক আমরা সময় নষ্ট করি বলেই – ওহাবীরা সুযোগ পায়, মাজার বির্তকিত হয়। ➡️ তর্ক বিতর্ক ফতোয়ার কারনে আমরা ঐতিহ্যেবাহী ঈদে মিলাদুননবী ( সাঃ) মিলাদ উদযাপন, শবে বরাত, শবে মেরাজ, আশুরা এসব পালনে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছি।
অথচ mummy daddy day, love day, valentine day, গায়ে হলুদ, halloween day, ইস্টার ফ্রাইডে বা হ্যাপি নিউ ইয়ার সব আমরা পালন করি। মজার ব্যাপার যারা ফেসবুক পোষ্টে বা আড্ডায় শবে বরাত না করার পক্ষে যুক্তি দেয় – সেই মুখোশধারী শয়তানদের দেখবেন সবার আগে খাবার টেবিলে অথবা সেলফি তুলে ফেসবুকে সবার আগে পোস্ট দেয়। ➡️ আমরা আজ ঈদের দিন অলস হয়ে ঘুমাই, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ১লা বৈশাখ, নতুন আমদানী করা বিশেষ ডেতে সারা দুপুর রোদে পুড়ে ঘোরাঘুরি করি। আফসোস🥲। শবে বরাত শবে কদরে নফল নামাজ পড়লেই এদের মাথা গরম হয়ে সাথে সাথে চিৎকার করে উঠে – ফরজের খবর নাই – নফল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি। ➡️ বাঙ্গালী মুসলিমদের ইসলামের সোনালী অতীত আর নফল আমলের উৎসব অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে – উৎসবের আমেজে ইসলামের সব বিশেষ দিন পালন করতে হবে। শুধু ইবাদত না – এদিন আমরা ভালো মন্দ খাই, গরীব দুঃখী ও পাড়া প্রতিবেশী দের মনে খাবার বিনিময় করি – এটা ইসলামের শিক্ষা, এতে পারষ্পরিক সৌহার্দ্য বাড়ে। ফ্যাসাদের শিক্ষা ইসলাম দেয় নাই। খেয়াল রাখতে হবে- আমাদের সন্তানেরা যেনো উৎসব আর সংস্কৃতির দৈন্যতার ফলে ইমানহারা এবং সংস্কৃতি হারা না হয়ে যায়।
( সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে)