শাহ মিডু, স্পেশাল করেস্পনডেন্ট।
ঐতিহ্যবাহী গাউছে হাওলা দরবার শরীফের পীরজাদা সৈয়দ মাহবুব উল্লাহ আকবরী (র.)’র আর নেই। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গতকাল বাদে জুমা মরহুমের নামাজে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন।
তিনি ছিলেন বোয়ালখালী উপজেলার বহুল পারিচিত উক্ত গাউছে হাওলা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা- প্রখ্যাত ছুফি সাধক- খলিফায়ে গাউছুল আজম- শাহছুফি মাওলানা সৈয়দ আবদুল কুদ্দুস শাহ (রহ.)-এর ৫ম পুত্র।
অপরদিকে, সিলসিলায়ে রাহে ভান্ডারের প্রবর্তক- গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর অপর খলিফা- দুলহায়ে হযরত- ছাহেবে অজুদুল কোরআন- শাহছুফি মাওলানা ছৈয়দ ছালেকুর রহমান রাহেভান্ডারী (ক.)’র একমাত্র শাহজাদা মাওলানা ছুফি সৈয়দ সুলতান মাহমুদ (রহ.)-এর তিনি ছিলেন একমাত্র শ্যালক।
এ সময় বিভিন্ন পীর-মাশায়েখ, জন প্রতিনিধি, প্রশাসনিক ব্যক্তি, হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ ও এলাকার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। যাদের মধ্যে ছিলেন,
গাউছে হাওলাস্থ শিবলী মঞ্জিল গদীনশিন- পীরজাদা সৈয়দ নঈমুল কুদ্দুছ আকবরী (মা.), রাহে ভান্ডার সিলসিলার গ্রান্ড শায়েখ- ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম দরবার শরিফের সাজ্জাদানশিন- হযরতুল আল্লামা ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা.), বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম রাজা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এসে, এম সেলিম, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ নুরুল আমিন, আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সচিব- সূফি ব্যক্তিত্ব- শাহজাদা সৈয়দ বশির আহম্মদ মনি (সূফি মনি) প্রমুখ।
গত বৃহষ্পতিবার বেলা ৪:০০ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। “ইন্না-লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন”।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং ৫ ছেলে ও ৪ মেয়ে রেখে যান।