শবে বরাত
কিছু বছর আগেও একটা বিশেষ দিন ছিলো শবেবরাত। মিষ্টান্ন, হালুয়া, চালের আটার রুটি, মাংস এসব রান্না হতো এবং সেটা অবশ্যই সবার উদ্দেশ্যে। পাড়ার সবাই সবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো, কার বাড়ি নতুন রেসিপি হচ্ছে, কার বাসার টা মজা হয়েছে, দেখতে সুন্দর হয়েছে কে কত কম দিল কে বেশী দিল এসবেও ছিলো আমাদের বিনোদন।
যাদের একটু সামর্থ্য কম ছিলো তারা বাড়ি বাড়ি আসতো রুটি আর হালুয়া নিতে, কেউ খাবার খেতে আসতো।
নিউজ/লেখাটির বাকি অংশ দেখুন নীচের ভিডিও এর পর-
জামায়াত..শিবিরের রাজনীতি, আওয়ামীলীগ ও নির্বাচন নিয়ে আলোচিত টকশো :
মেজর জেনারেল অব ইব্রাহিম যা বললেন,
জানতে হলে লিংক চাপুন –
( ভালো লাগলে বন্ধুদের জানাতে লাইক ও শেয়ার দিন, প্লিজ ! )
সবার মধ্যে একটা অন্য রকম আনন্দ ছিলো, খাবার দেয়া নেওযার ফলে সবার সাথে সবার দেখা হোত। মিলাদ হোত, কে কতক্ষন জেগে এবাদত করেছে, কে কত রাকাত পড়লো সেই হিসাব চলতো পরের দিন।
ধর্মের সাথে এটা একটা সংস্কৃতি ছিল, পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় বিষয়টিকে ও বেদাত বলে এই সংস্কৃতিটা একদম শেষ করে দিচ্ছে।
এখন কেউ নিজের বাড়ির সদস্যকেই খেতে দিতে চায়না! আবার বাড়ি বাড়ি পাঠানো!! পাড়া প্রতিবেশী কে না বিলি করলেও নিজেদের জন্য অনেকেই এখনো কিছু আয়োজন করে, ভবিষ্যতে তাও হয়তো করবেনা। এক এক সময় এক এক হুজুর এসে এক এক ফতোয়া দেয় বেদাত।
যান্ত্রিক এই যুগে শবেবরাতের উছিলায় যদি এক মুসলমান আরেক মুসলমানদের সাথে দেখা হয়, আন্তরিকতা বাড়ে, কুশল বিনিময় হয়, সামাজিকতা হয়, সংস্কৃতি পালন হয়, ইবাদত হয়, সামর্থ্যহিন মানুষ গুলো ভাল কিছু খেতে পায় তাহলে এমন কাজ কখনও বেদাত হতে পারেনা। যুগের পর যুগ চলে আসা রীতি কে রেওয়াজ কে কোন অপব্যাখ্যায় ফেলে এভাবে নষ্ট করা হচ্ছে আমি জানিনা 😥
( নাদিরা সুলতানা হেলেন : রাজনৈতিক মানবাধিকার ও নাট্য কর্মী ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত