নিউজ ব্যাংক বাংলা, চট্টগ্রাম:
উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলি, আধ্যাত্মিক সাধক শাহসূফি মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান (কঃ) মাইজভান্ডারী; প্রকাশ-বাবা ভান্ডারী কেবলার ৮৯তম ওরশ শরীফ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্যের মধ্য দিয়ে শনিবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়িরমাইজভান্ডার দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিন দিন ব্যাপী ওরশ শরীফে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো লাখো ভক্তের অংশগ্রহণে বিশাল মিলন মেলায় পরিনত হয়। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
ভক্তদের বহন করা যানবাহন তিনটি প্রধান সড়কের ১০/১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সারিবদ্ধ ভাবে রাখা হয় এবং লাখো ভক্তের অংশগ্রহণ করতে যাতে কোন ধরনের বিশৃংখলা না হবার জন্য দরবার শরীফের পক্ষ থেকে ভলান্টিয়ার নিয়োজিত রাখা হয়। ভক্তরা মাইজভান্ডার পৌঁছে
হযরত শাহছুফি মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান (ক:) আল-হাছানী, ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী (কঃ) এর মাজার সহ অন্যান্যা মাজার গুলোতে জেয়ারতের মাধ্যমে নিজ নিজ মনোবাসনা পূরণের জন্য মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে অশ্রুসিগ্ধ নয়নে ফরিয়াদ করেন। ওরশ শরীফের ৩ দিন ধরে দিন- রাত দীর্ঘ লাইন ধরে গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রধানতম সাজ্জাদানশীন হযরতুলহাজ্ব শাহছূফি মাওলানা ছৈয়দ মুজিবুল বশর আল হাচানী; ওয়াল হোসাইনী,আল মাইজভান্ডারী (ম:জি:আ:) সাক্ষাত করে দোয়া কামনা করেন।
এ ওরশ শরীফে গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের পক্ষে আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশন কর্তৃক বাদ ফজর বাবা ভান্ডারীর (ক.) মাজারে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির-আজগার সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির শেষ দিন ৫ এপ্রিল প্রধান দিবসে মাইজভান্ডার শাহী ময়দান সহ প্রায় ৬/৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আশেকানে লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে আছরের নামাজের ইমামতি করেন শাহসুফী আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ মুজিবুল বশর আল হাচানী আল মাইজভান্ডারী।
নামাজ শেষে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও কিয়াম শেষে বিশ্বের সকল উম্মাহর সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মোনাজাত করা হয়।
এ সময় নায়েবে সাজ্জাদশীন শাহজাদা সৈয়দ নুরুল বশর মাইজভান্ডারীসহ লাখো অশেকানে মাইজভান্ডারী ভক্তরা মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেন। এসময় ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে ভক্তরা মুখরিত করে তোলে পুরো দরবার শরীফ।

ওরশ শরীফ সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হওয়ার উপজেলা প্রশাসন, থানা ও হাইওয়ে পুলিশ এবং গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের সেচ্ছা সেবক আশেকানে ভক্তদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের পক্ষে আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
