নিউজ ব্যাংক বাংলা:
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা করতে চান চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকার ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম।তিনি নিজের নির্বাচনী ইশতেহারে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
৪ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জনাকীর্ণ সাংবাদিক ও নানাশ্রেণি ও পেশার লোকজনের উপস্থিতিতে ২০ দফা কর্মপরিকল্পনা ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি ।
ইশতেহার ঘোষণা ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁর অতীত কর্মকা– সহ সমাজসেবার কিছু অংশ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি এ নির্বাচন দেশের দলমত নির্বিশেষে তথা সকল নাগরিকের অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন হবে। মানুষ স¦তঃস্ফুর্তভাবে, নির্ভয়ে, বিনা বাঁধায় ভোট কেন্দ্রে এসে তাঁদের মনোনীত প্রার্থীদের মহামূল্যবান ভোট প্রদান করে আমাকে নির্বাচিত করবে।
তিনি বলেন,’ আমি চট্টগ্রাম ১০ আসনের সম্মানিত ভোটারদের জানাতে চাই আগামী ৭ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসবেন এবং চট্টগ্রাম ১০ আসনের উন্নয়নে আমার ফুলকপি প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে দেশ ও দশের সেবা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন। ‘
সাবেক এই মেয়র বলেন, বিগত ২০১০ খ্রি. তারিখে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরবাসী বিপুল ভোটে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করে নগরভবনে পাঠিয়ে নগরবাসীর সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমিও মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমার সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করেছি নগরবাসীকে সেবা দিতে। এবারও ঠিক সেভাবে আমার প্রতীক ফুলকপি মার্কায় আপনাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে মহান সংসদে পাঠিয়ে আপনাদের দাবী দাওয়া, নাগরিক অধীকার, এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার সুযোগ করে দিবেন।
ইশতেহারে সংক্ষিপ্ত আকারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু অঙ্গিকার ব্যক্ত করার কথা জানিয়েছেন মনজুর আলম।
তিনি বলেন, ‘যদি আমাকে আপনারা আপনাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন, ইনশাল্লাহ আমি আমার ইশতেহারের সবগুলি অঙ্গিকার পূরণ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, ‘আমার মরহুম শ্রদ্ধেয় পিতা–মাতার নামে আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। এছাড়াও আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এবং আলহাজ্ব হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছি। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১০৩ টি সেবাধর্মী মূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে যেখানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাতৃ সদন হাসপাতাল, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রাম, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, মন্দির, মহাশশ্মান সহ আরো অন্যান্য সেবাধর্মী মুলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে আমি সারাজীবন মাটি ও মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।‘
তিনি আরো বলেন,আমরা হযরত মনছুর আলী শাহ (র.) এর বংশধর। চট্টগ্রাম পীর আউলিয়াদের পূণ্যভুমি। এ অঞ্চলে বসবাসরত সকল মানুষ যাতে নি:স্বার্থভাবে সেবা পায় এই আমার অঙ্গীকার।
নিউজ/লেখাটির বাকি অংশ দেখুন নীচের লিংক/ছবি/ভিডিও এর পর-
ঢাকার বাইরের মানুষের অধিকার নিয়ে একটি আলোচিত বক্তৃতা :
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন । জানতে হলে লিংক চাপুন –
( ভালো লাগলে বন্ধুদের জানাতে লাইক ও শেয়ার দিন, প্লিজ!
স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ মোহাম্মদ মনজুর আলম তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারের কর্মপরিকল্পনায় ২০ দফা তুলে ধরে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা, বেকার ছেলে–মেয়েদের চাকুরীর সু–ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ , ১০ সংসদীয় আসনের ৮টি ওয়ার্ড এলাকার ক্ষতবিক্ষত অলি–গলি, রাস্তাঘাট, নালা–নর্দমা যে গুলো রয়েছে আমি স্থানীয় সরকারের অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংস্কার করার ব্যবস্থা, এলাকায় নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এবং ময়লা–আর্বজনা অপসারনের জন্য দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে সমন্বয় করত: ব্যবস্থা গ্রহণ করা , যে সকল রাস্তা–ঘাটে সড়ক বাতির স্বল্পতা এবং সড়ক বাতি না থাকার কারণে রাত্রিকালে চলাচলে বিঘ্ন ঘঠে সে সমস্ত এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে সড়ক আলোকায়ন ও সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা নেওয়া, শিল্প কারখানায় কাজে নিয়োজিত নারী শ্রমিকদের শিশু সন্তানদের পরিচর্যার জন্য ডে–কেয়ার সেন্টার খোলা, * যে সকল ওয়ার্ডে পানীয় জলের অভাব রয়েছে সে সব ওয়ার্ডে আমাদের সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অর্থায়নে ৮ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ১টি করে ডিব–টিউবওয়েল স্থাপনের ব্যবস্থা । * মুমূর্ষ রোগীদের জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা * জাতীয় কর্মসুচীগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, * স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিরা জমি দান করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সে জায়গায় ১টি মাতৃসদন হাসপাতাল স্থাপন , যাতে অনগ্রসর ঘনবসতীপূর্ণ এলাকার গরীব মা–বোনেরা স্বল্প খরচে ডেলিভারীসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা * ঘনবসতীপূর্ণ ওয়ার্ড এলাকায় স্কুলের অভাবে ছোট–ছোট ছেলে মেয়েরা পড়া–লেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সে সমস্ত এলাকায় জমি পাওয়া সাপেক্ষে আমাদের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। * গরীব মুমূর্ষ রোগীদের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নিজস্ব অক্সিজেন কারখানা থেকে বিনামূল্যে অক্সিজেন বোতল প্রদান করার লক্ষে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ১টি করে অক্সিজেন ব্যাংক স্থাপন করা। * গরীব শ্রমজীবী মানুষের সুবিধার্থে প্রতি ওয়ার্ডের বস্তি এলাকায় সপ্তাহে ১দিন অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসাসহ বিনামূল্যে ঔষধ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। * সরকারের সাথে আলাপ–আলোচনা করে তৃতীয় লিঙ্গদের জন্য পুর্নবাসন * শহরের ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের লক্ষ্যে ভিক্ষুকদের জন্য সরকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহায়তায় ভাতা প্রাপ্যতা। * মধ্যবিত্ত, গৃহহীন ও শ্রমজীবী মানুষের স্থায়ী ঠিকানার জন্য বহুতল বিশিষ্ট বাসস্থান নির্মাণের উদ্যোগ * গরীব ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য নিজেদের ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় বিনা বেতনে অধ্যয়নের ব্যবস্থা। * সাগরিকা থেকে নাসিরাবাদ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট পর্যন্ত মহিলাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১টি ফ্রি বাস সার্ভিস চালু * বেকার সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কারিগরী শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ * গরীব ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষা বৃত্তি/এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান * তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা নিশ্চিতকরণে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ ।
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হারিছ, জাফর আহমদ, আবুল কাশেম, শাহ আলম, সুলতান আহমদ, মো. নুর মিয়া, এম.এ. তাহের, শাহীন আলম, আলহাজ¦ মোহাম্মদ সরওয়ার আলম, নিপুর চৌধুরী, শামসুল আলম সহ নানা শ্রেণি ও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।
#
#