আমিরুল আউলিয়া হযরত মাওলানা ছৈয়দ শাহ আমিরুজ্জামান (ক.)’র পবিত্র বেলায়ত বার্ষিকী ওরস শরীফ গতকাল ১৫ জানুয়ারি ১ মাঘ সোমবার পটিয়াস্থ আমির ভান্ডার দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়।
মাইজভান্ডারী শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আযম হযরত ছৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (কঃ) মাইজভান্ডারীর “কালা সোনা” উপাধিতে ভূষিত ছৈয়দ আমিরুজ্জমান (কঃ) হলেন তার অসংখ্য প্রতিনিধীগণের মাঝে অন্যতম উজ্জ্বল তারকা সদৃশ খলিফা।
এ উপলক্ষ্যে দক্ষিন চট্টগ্রামের ঐ বৃহত্তর দরবারে হাজারো মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে মুসলিম সহ নানা ধর্মের মানুষের ব্যাপক সমাগম হলে, রাতে এলাকাটি জনসমূদ্রে রুপ নেয়। ওরশ শরীফের কর্মসূচীর মধ্যে ছিল খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, জিয়ারত, কাওয়ালী মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও আখেরী মোনাজাত।
শত বছরের ঐতিহ্যবাহী আমির ভান্ডারের অপরাপর মঞ্জিল সমূহের ন্যায় হযরত ছৈয়দ ফৌজুল আজিম শাহর প্রতিষ্ঠিত শাহ মঞ্জিলের বড় শাহজাদা হযরত সৈয়দ এয়ার মুহাম্মদ শাহ আমিরীর ছদারতে ব্যাপক আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ তরিকত পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সুলতানুল আরেফিন ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হযরতুল আল্লামা ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা.), উজিরিয়া হাশেমিয়া দরবারের পীর ছাহেব হযরত আবুল হাশেম শাহ, চট্টগ্রাম দরবার শরিফের মোন্তাজেম হযরত ছৈয়দ শরিফ হোসাইন, রাহে ভান্ডার সিলসিলার খলিফা হযরত ছৈয়দ আরেফ হোসাইন, রাহে ভান্ডার প্রকাশনা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব ছৈয়দ সুলতানুল আলম খোকন, বাংলাদেশ তরিকত পরিষদের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জনাব শাহ মিডু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শাহ মঞ্জিলের সাজ্জাদানশিন পীর ছাহেব হযরত মাওলানা সৈয়দ ফোরকানুল হক শাহ আমিরী (মা.) পরিচালিত আখেরী মোনাজাতে পূণ্যার্থীগণ সহ দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এ ওরছ মোবারকের কার্যক্রম শেষ হয়।
উল্লেখ্য, দরবারের আদব রক্ষা ও শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের জন্য ভক্তদের প্রতি পূর্বেই বিশেষ নির্দেশনাবলী প্রচার করা হয়। যার মধ্যে ছিল ওরশে তাদের নিয়ে আসা মানত, হাদিয়া স্বরূপ গরু, মহিষ ওরশের দিন রাত ১২ টার মধ্যে দরবারে আদবের সহিত প্রেরণ ও গরু, মহিষকে উত্যাক্ত না করা।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি