বিএনপি জমানায় ‘পিলার সেতু’ হবে, নাকি ‘ক্যাবল স্ট্রেট ব্রীজ’ বা ঝুলন্ত সেতু হবে- এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক বাঁধে চট্টগ্রামে। সে সময়ের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ‘ঝুলন্ত সেতু’র পক্ষে তীব্র অবস্থান নেন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর সেইস্বপ্নের সুত্র ধরেই কর্ণফুলী নদীতে পলি জমাবার মত কোন ঝুঁকি না নিতেই টানেলের সুচনা, যে টানেল নিয়ে আসবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও।
নদীতে পলি জমাবার “বিতর্কিত’ পিলার সেতু করেছিল বিএনপি, আর প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম টানেল । বিএনপি জমানায় ‘পিলার সেতু’ হবে, নাকি ‘ক্যাবল স্ট্রেট ব্রীজ’ বা ঝুলন্ত সেতু হবে- এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক বাঁধে চট্টগ্রামে। সে সময়ের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ‘ঝুলন্ত সেতু’র পক্ষে তীব্র অবস্থান নেন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর সেইস্বপ্নের সুত্র ধরেই কর্ণফুলী নদীতে পলি জমাবার মত কোন ঝুঁকি না নিতেই টানেলের সুচনা, যে টানেল নিয়ে আসবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও।
বিএনপি’র করে দেওয়া পিলার সেতু নয়, সক্ষমতা গৌরব ও উন্নয়নের এক সফল বাস্তবতা ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’। চট্টগ্রামের মানুষের স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার’ই আগামী নির্বাচনে ভোটের ‘নিয়ামক’ হতে পারে আওয়ামী লীগের । এমনটি মনে করছেন দায়িত্বশীলরা।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত পরিকল্পিত উদ্যোগসমুহের মধ্যে বঙ্গবন্ধু টানেল নিঃসন্দেহে এক উজ্জ্বল সংযোজন……
আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান মনে করেন, অর্থনীতিকে গতিশীল করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে যুক্ত হতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে টানেলটি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত পরিকল্পিত উদ্যোগসমুহের মধ্যে বঙ্গবন্ধু টানেল নিঃসন্দেহে এক উজ্জ্বল সংযোজন।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, টানেলটি শুধু দুই পাড়ের যোগাযোগের ক্ষেত্রেই নতুন দিগন্ত নয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্য ও সক্ষমতার প্রতিক। পদ্মাসেতুর পরে এটি আমাদের অবিশ্বাস্য সাফল্য। টানেলের ফলে নদীতে পলি জমবে না, বরং এটি উন্নয়নের মাইলফলক।’
লেখাটির বাকি অংশ দেখুন নীচের লিংক/ছবি/ভিডিও এর পর-
জামায়াত..শিবিরের রাজনীতি, আওয়ামীলীগ ও নির্বাচন নিয়ে আলোচিত টকশো :
মেজর জেনারেল অব ইব্রাহিম যা বললেন,
জানতে হলে লিংক চাপুন –
( ভালো লাগলে বন্ধুদের জানাতে লাইক ও শেয়ার দিন, প্লিজ ! )
চট্টগ্রামে অবস্থানরত রাশিয়ার অনারারী কনসাল ও নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, এখনই এই টানেলের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তা নিয়ে অহেতুক কেউ বিতর্ক করতে পারেন। তবে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে এটি মুখ্য হয়ে উঠেছে। অবকাঠামোগত স্থাপনা ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
চট্টগ্রামের প্রবীণ রাজনীতিবিদ , মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা একেএম বেলায়েত হোসেন বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি সরকারের সময়ে কর্ণফুলী নদীতে পিলার সেতুর বদলে ঝুলন্ত সেতুর জন্য মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সংগ্রাম করেছিলেন । তাঁর দাবি ছিল পিলার সেতুর কারণে নদীতে পলি জমে সুদূরপ্রসারী ক্ষতি হবে। তাই তিনি সেটি চাননি। বরং তার নির্বাচনী ম্যানুফেস্টুতে কর্ণফুলীতে টানেলের কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি জোর করে পিলার সেতু চাপিয়ে দেয় । আজ সময়ের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু কন্যা চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দিলেন ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশবান্ধব টানেল। এই কারণে চট্টগ্রামের মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি কৃতজ্ঞ। ‘ আওয়ামী লীগের আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ের জন্য চট্টগ্রামের আসনগুলোতে অন্তত এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন এই প্রবীণ নেতা।
লেখাটির বাকি অংশ দেখুন নীচের লিংক/ছবি/ভিডিও এর পর-
ঢাকার বাইরের মানুষের অধিকার নিয়ে একটি আলোচিত বক্তৃতা : প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন । জানতে হলে লিংক চাপুন –
( ভালো লাগলে বন্ধুদের জানাতে লাইক ও শেয়ার দিন, প্লিজ!
চট্টগ্রাম শহর অংশের সাথে দক্ষিণ চট্টগ্রামে সংযুক্ত হয়েছে এই টানেল। দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাদা মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর মত তাঁর কন্যাও চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিয়েছেন। চট্টগ্রামবাসী শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন। ‘
পরিবেশবিদ ও নাগরিক সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী মনে করেন, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত পরিবেশবান্ধব তো বটেই, ভূ রাজনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ।’
এফবিসিসিআই সভাপতি ও চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম মনে করেন , এই টানেল নির্মাণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামকেই গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী , যা জাতীয় পর্যায়েই ভূমিকা রাখবে।#